ঈদুল আযহা ১ দিন নাকি ৩ দিন?
ঈদুল আযহা ১ দিন নাকি ৩ দিন? : ইসলামী দৃষ্টিকোণ ও বাস্তবতা
✅ প্রশ্ন: ঈদুল আযহা কি শুধু ১ দিন, নাকি ৩ দিন?
উত্তর:
ঈদুল আযহার মূল ঈদের নামাজ হয় একদিন—যেটি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ। তবে কুরবানির সময়সীমা ৩ দিন—অর্থাৎ জিলহজের ১০, ১১ এবং ১২ তারিখ পর্যন্ত। এই তিন দিনকে "আয়্যামে নাহর" বলা হয়, যার অর্থ হলো কুরবানির দিনসমূহ। সুতরাং, ধর্মীয়ভাবে ঈদের আমেজ ও কুরবানির কার্যক্রম তিন দিন ধরে পালিত হয়।
🌙 ঈদুল আযহার দিনের সংখ্যা – কোরআন ও হাদীস অনুযায়ী ব্যাখ্যা
📖 কুরআনের আলোকে:
আল্লাহ বলেন—
وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَّعْلُومَاتٍ
“...যেন তারা নির্দিষ্ট কয়েক দিনে আল্লাহর নাম স্মরণ করে...”
📚 (সূরা হজ্জ: ২৮)
ইবনে আব্বাস (রাঃ) এই আয়াতের তাফসিরে বলেন, “এখানে উল্লেখিত নির্দিষ্ট দিনগুলো হলো ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ—যা কুরবানির দিন।”
📜 হাদীসের আলোকে:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন—
"সমস্ত দিন কুরবানি করা যায় ১০, ১১ ও ১২ জিলহজে।"
📚 (আবু দাউদ, তিরমিজি)
🕌 ঈদের নামাজ ও কুরবানির সময়সূচী
| বিষয় | দিন | সময় |
|---|---|---|
| ঈদুল আযহার নামাজ | ১০ জিলহজ | সূর্য ওঠার পর |
| কুরবানির সময়সীমা | ১০ – ১২ জিলহজ | প্রতি দিনের যোহর পর্যন্ত |
🤔 তাহলে ঈদ কি একদিন, নাকি তিনদিন?
-
নামাজ: শুধুমাত্র প্রথম দিন (১০ জিলহজ)।
-
কুরবানি: ৩ দিন পর্যন্ত।
-
ঈদের আমেজ: সামাজিকভাবে তিন দিন ধরে পালিত হয়।
-
অফিশিয়াল ছুটি: বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে—কিন্তু সাধারণত ৩ দিন পর্যন্ত দেওয়া হয়।
💡 ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে শিক্ষা:
ঈদ মানেই কেবল আনন্দ নয়, এটি আত্মত্যাগ ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিবেদন শেখার একটি মহান উপলক্ষ। ঈদুল আযহা আমাদের শেখায়—
-
আত্মত্যাগের গুরুত্ব
-
ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব
-
আল্লাহর আদেশ পালনে প্রস্তুত থাকা
📌 উপসংহার:
ঈদুল আযহার নামাজ একটি নির্দিষ্ট দিনে হলেও কুরবানির বিধান তিন দিন পর্যন্ত। তাই ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একদিনের ঈদ হলেও তিনদিনের আমল। আমাদের উচিত ঈদের আনন্দের পাশাপাশি এর প্রকৃত তাৎপর্য উপলব্ধি করা এবং কুরবানির মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি লাভ করা।
Post a Comment